শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
মোঃ ইসলাম হোসেন, জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ::
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় খাদ্য কর্মকর্তা নিয়ামুলে’র ব্যাপক ঘুষ বানিজ্য ও মিলারদের চাউল বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সকল সরকারী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে এই উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ২০১৯ সালের সরকারী খাদ্য গুদামে চাউল সংগ্রহের উল্লাপাড়ায় ৮০টি চাউল কলের মধ্যে ৪০টি মিলারের সংগে যোগসাজস করে ঐ মিলারদের পাক্ষিক ছাটাই ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাদের বরাদ্দ বেশি দিয়ে প্রায় কোটি টাকার উৎকোচ গ্রহণ করার অভিযোগ উঠেছে। পক্ষান্তরে বাকী ৪০টি মিলারদের বরাদ্দ নগন্ন করা হয়েছে। যেমন এস কে সেমি অটো রাইচ মিল কোন কার্যক্রম নাই অথচ তাকে ১১৫ টন বরাদ্দ পক্ষান্তরে জোয়াদ্দার চাউল কল বড় হওয়ার পরেও তাকে মাত্র ১৫ টন দেওয়া হয়েছে। উল্লাপাড়া পৌরসভার মধ্যে সোনেকা চাউল কলের কোন অস্থিত্বই নেই তাকেও ১৫ টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জান বক্স চাউল কল ও তানিয়া চাউল কল একই মিল অথচ ২ জনের নামে ৫০ টন ৫০ টন করে ১শ টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আনিকা চাউল কল, সাহেব বাড়ী চাউল কল, সরকার চাউল কল এদের মিল সর্ম্পন বন্ধ থাকলেও এক এক টা মিলে ৫০ টনের উপর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া গত বছরের উল্লাপাড়ায় রাইচ মিল ছিল ৫৭টি। এ বছরে মাত্র ২টি মিল নতুন তৈরি হয়েছে। বাকী ২১ টি মিল লাইসেন্স থাকলে মিল নেই। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদ্য বিভাগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই ১২টি মিল বাতিল করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিয়ামুলের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলনে এ সমস্ত বিষয় মিথ্যা বানোয়াট এ বিষয় আমি কিছু জানিনা তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা নিয়ামুল বগুড়া শহরের লোক হওয়ার কারনে ছাত্র জীবনে ছাত্রদলের আজিজুল হক কলেজে প্রোভিপি ছিলেন এবং চাকুরীর পুর্ব পর্যন্ত বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গেছে। যে কারণে তিনি খুব রাগি এবং এ বছরে মিলারদের চাউল তিনি বগুড়া থেকে নিম্নমানে চাউল গোডাউন যাত করবেন বলে মিলারদের কাছে জানা গেছে। নিয়ামুল হক প্রতিদিন বগুড়া থেকে প্রিমিয়ার প্রাইভেট কার নিয়ে উল্লাপাড়ায় অফিস করতে দেখা গেছে।